ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড
- আপলোড সময় : ১৬-০১-২০২৫ ১২:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৬-০১-২০২৫ ১২:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন
ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো. সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, মিসেস ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভ‚ঁইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান। এরমধ্যে কারাগারে আছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমীন, ফারহা দিবা ও মোহাম্মদ হোসেন। জামিনে আছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ। এছাড়া ১৫ আসামি পলাতক রয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজধানীর কলাবাগান থানায় ২০১২ সালের ৩১ জুলাই মামলা দুটি করে। ২০১৪ সালের ৪ মে একটি মামলায় ১৯ জনের এবং অপর মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০২২ সালের ১২ মে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং বেআইনিভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে ১২ বছরের কারাদÐ হয়। এছাড়া হারুন অর রশীদসহ ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদÐ দেওয়া হয়। অপরদিকে আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তারা গাছ বিক্রির নামে ২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন এই মামলায় উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) হিসাবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং সরাসরি পাচার করা হয় আরও ২ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার। এদিকে রফিকুল আমীন ও মো. হোসেন সাজার পুরো সময়ের চেয়েও অতিরিক্ত ৩ মাস ধরে কারাগারে আছেন। এজন্য তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন আদালত। শিগগিরই তারা দুজন কারামুক্ত হবেন বলে আশা করছেন তাদের আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী। তিনি বলেন, রফিকুল আমীন ও হোসেন ১২ বছর ৩ মাস জেলে আসেন। তাদের সাজা হয়েছিল ১২ বছর। তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আদালত তাদের কারামুক্ত করতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন। কাজেই আশা করছি, আজই তারা কারামুক্ত হচ্ছেন। আসামিদের মানিলন্ডারিংয়ের ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকার দ্বিগুণ ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদÐ করা হয়েছে। অর্থদÐ তাদের কারামুক্তিতে বাধা হবে কিনা, জানতে চাইলে এহেসানুল হক সমাজী বলেন, অর্থদÐের টাকা আগামী ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। আর অর্থদÐ তাদের কারামুক্তিতে বাধা হবে না মর্মে আদালত আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। কোনও প্রতিবন্ধকতা না হলে তারা আজই কারামুক্ত হবেন, এমনটাই আশা করছি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ